চট্টগ্রাম নগরীর সেন্ট জোসেফ’স টিউটোরিয়ালে (১২৭, মোমিন রোড) নতুন এ শাখার শিখন কার্যক্রম চলবে প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকেলে। আগামী ০৩ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
কেন্দ্রীয় পাঠক্রমের আওতায় এখানেও সংগীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলা, আবৃত্তি ও অভিনয়, যুক্তিকথা ও পাঠাভ্যাস এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস চলবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিমাসে একদিন ক্লাসরুমের বাইরে ক্লাস করানো হবে। ওই ক্লাসে শিশুদের প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা এবং গাছ, ফুল, পাখি, প্রজাপতি ইত্যাদির সঙ্গে পরিচিত করানো হবে। মাঝে মাঝে নিয়ে যাওয়া হবে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও।
৩-৫ বছরের শিশুরা ইচ্ছে শ্রেণিতে দেড় বছর এবং ৬-৮ বছরের শিশুরা আনন্দ লাল ও ৯-১৪ বছরের শিশুরা আনন্দ সবুজ শ্রেণিতে তিন বছরের কোর্সে পাঠ নেবে।
প্রি-কোর্স বা প্রস্তুতি পর্বে ইচ্ছে শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমের বিষয় ৪টি- সংগীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলা (চিত্রাঙ্কন, মৃৎশিল্প ও অরিগ্যামি) এবং গল্প-ছড়া।
আনন্দ লাল ও আনন্দ সবুজের শিশুদের সিলেবাসের বিষয় ৬টি- সংগীত, নৃত্য, চারু ও কারুকলা (চিত্রাঙ্কন, মৃৎশিল্প ও অরিগ্যামি), আবৃত্তি ও অভিনয়, যুক্তিকথা ও পাঠাভ্যাস এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধ।
ঢাকার তিনটি শাখার পর এটি তাদের চতুর্থ ও রাজধানীর বাইরের প্রথম শাখা বলে জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক এ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান শোয়েব।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের মন-বুদ্ধি-স্বভাবের বিকাশ যেন স্বাভাবিকভাবে হতে পারে, তাদের ভেতরে যেন ন্যায়নীতির শুভবোধ, রুচিবোধ আর সৌন্দর্যবোধ জন্মে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে বাতিঘর’।
পরিচালক তামান্না সেতু বলেন, ‘বৈরি সময় আর পরিবেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জ্ঞান ও যুক্তিনিষ্ঠ প্রজন্ম গঠনে শিশুদের আমরা জানাতে চাই বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস। চেনাতে চাই বাঙালি সংস্কৃতির অলি-গলি। গড়ে তুলতে চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আত্মবিশ্বাসী করে’।
‘বাতিঘর শিশুদের নিয়ে সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বিচরণের মাধ্যমে মূলত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়’।
২০১৪ সালের ০৪ এপ্রিল লালমাটিয়ায় যাত্রা শুরু করা বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অন্য দু’টি শাখা রয়েছে উত্তরা ও মিরপুরে।
চিত্রশিল্পী হাশেম খান, শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, কবি অসীম সাহা, নাট্য শিক্ষক বিপ্লব বালা, সংগীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায় ও সংগীত শিল্পী চন্দনা মজুমদারও উপদেষ্টা হিসেবে বাতিঘর পরিচালনায় যুক্ত রয়েছেন।
অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ: www.facebook.com/batighar.culture থেকেও ভর্তিসহ নানা কার্যক্রম সম্পর্কে জানা ও যুক্ত হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বাতিঘর শিশুদের সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
এএসআর