দুষ্টুভূতের দুষ্ট স্ত্রী। সে-ও অর্থ-সম্পদের লোভে সানন্দে রাজি হয়ে গেলো।
সেরালি মনের সুখে শরীর ঝাঁকিয়ে তাইরে নাইরে করে বাড়ি ফিরলো। সে আনন্দে টগবগ করছে। ঘরে ঢুকেই সে আদর-আহ্লাদে তার স্ত্রীকে ডেকে বললো, কই গো সোনামানিক আমার, আরে আসো আসো, দারুণ খবর! আমি আজ মহা আনন্দের খবর নিয়ে এসেছি, এবার বাবার দরবার থেকে খালি হাতে ফিরে আসিনি, শোনো।
সেরালির স্ত্রী অসুখ অসুখ ভাব নিয়ে তার সামনে এসে বললো, কী হয়েছে তোমার কও ত, শুনি। সেরালি নাকে-মুখে সব কথা খুলে বললো। তার স্ত্রী মুখে আঁচল টেনে একগাল হাসি দিয়ে শরমে শরমে বললো, আমার তো মনে হয় দেবতা আমাদের উপর মুখ তুলে চেয়েছেন। সেরালি বললো, তুমি বুঝলা ক্যামনে গো!
শরীরটা কেমন ভার ভার লাগছে।
সেরালি আনন্দে মুখটা বউয়ের কানের কাছে নিয়ে বললো, এখন কাউকে কিছু বলবে না। খুব সাবধানে চলাফেরা করবে। সন্তান আমরা পেয়ে গেছি। এখন খালি সময়ের অপেক্ষা।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই প্রচণ্ড আগ্রহে সন্তানের অপেক্ষায় রইলো।
দিনে দিনে সেরালির স্ত্রীর খাবারের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে গেলো। স্ত্রী যখন যা চায় সেরালি ছোটাছুটি করে তা-ই এনে দেয়। যা আনে তাই গপা গপ করে খেয়ে ফেলে। খাওয়াতে তার কোনো অরুচি নেই। হাড়কিপটে সেরালি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে বলে, যা আনি তাই খেয়ে সাবাড় করে ফেলো, এত খাবার তুমি লও কই! স্ত্রী কুটকুট করে হেসে বলে, ওম্মা কয় কি! আমি কি এখন একা নাকি! দু’জন না। বেশি লাগবে না তো কি! হেঃ হেঃ হিঃ হিঃ।
চলবে….
***ভূত-দেবতার চালাকি | বিএম বরকতউল্লাহ্
***ভূতপাহাড়ের ভূত-দেবতা | বিএম বরকতউল্লাহ্
***সেরালি | বিএম বরকতউল্লাহ্
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এএ