মুরগির ভুট্টা ফুরিয়ে আসে, তাতে জ্যাককে ভুট্টার খোঁজে বেরোতে হয়। তার দাদার খামারে না পেয়ে তাকে কাছের মাইকদের খামারে যেতে হয়।
একবার বড় ধরনের একটা বিপদ সঙ্কেত বাজানো হয়, কারণ নোরা বলে সে বৈঠার শব্দ শুনতে পেয়েছে। জ্যাক হুড়মুড় করে ডেইজিকে আনতে যায়, আর মাইক মুরগিগুলোকে বেঁধে বস্তায় ঢোকায়। তবে পেগি দৌড়ে পাহাড়ে ওঠার পর নিচের হ্রদে কিছুই দেখতে পায় না।
দৃষ্টিরসীমানায় কোনো নৌকার দেখা মেলে না, কেবল চারটে বড় ধবল রাজহাঁস, পা ছুড়ে, ডানা ঝাঁপটে জলের ওপর কশাঘাত করে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে!
সব ঠিক আছে, ছেলেরা! সে চিৎকার করে। কাজটা রাজহাঁসের! নৌকার না!
ডেইজিকে ধীরে-সুস্থে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মুরগিগুলোকে বের করে আবারও বস্তা খালি করা হয়। সবাই নোরাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে, সে ঠিক করে, এরপর থেকে নৌকার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল সে বিপদ সঙ্কেত বাজাবে।
একদিন রাজবেরি পাড়তে গিয়ে জ্যাক পাহাড়ের ঢাল থেকে পিছলে পড়ে। তার হাঁটু মচকে যায়। মাইক ওকে ধরে ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনে। খারাপভাবে মচকে যাওয়ায় জ্যাককে খুব দুর্বল দেখায়।
পেগি দৌড়ে গিয়ে কয়েকটা পরিষ্কার ন্যাকড়া ঝরনার বরফ শীতল জলে ভিজিয়ে নিয়ে আসে। তারপর শক্ত করে জ্যাকের পা আর হাঁটুতে জড়িয়ে দেয়।
কিছুক্ষণের জন্য নড়াচড়া করো না, সে বলে। একেবারে চুপচাপ শুয়ে থাকতে হবে। মাইক তেমার কাজগুলো করবে।
তাই জ্যাককে দু’এক দিন চুপচাপ শুয়ে থাকতে হয়, ব্যাপারটা তার খুব বিদঘুঁটে ঠেকে। তবে সে খুবই বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন একটি ছেলে এবং সে জানে দ্রুত সেরে ওঠার এটাই একমাত্র উপায়। মাইক তার জন্য ঝোপ থেকে মজবুত একটা হেজলের ডাল কেটে আনে। সেটায় ভর করে খুব শিগগিরই সে চলাফেরা শুরু করে এবং সপ্তাহ দু’একের মাঝে তার পা পুরোপুরি সেরে ওঠে।
আরেকবার পেগি পাহাড়ে গিয়ে দিশা হারিয়ে অসহায়ের মতো তার নিচে থাকা একটা কাঁটা ঝোপের উপর গিয়ে পড়ে। ভয়ানক ছড়ে যাওয়ার পরও সে একটুও কাঁদে না। তীরে গিয়ে কাটা ছড়া ধুয়ে প্রতিদিনের মতো খাবার খায়। জ্যাক তাকে নিয়ে খুব গর্ব করে। ওখান থেকে পড়ে যাওয়ার পর যে কেউ চিৎকার জুড়ে দিতো! পেগির সমস্ত হাত পায়ে কাটা ছড়া দেখে জ্যাক বলে।
চলবে...
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এএ