ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশু একাডেমিতে ১১ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
শিশু একাডেমিতে ১১ দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ছুটির দিনে শিশু একাডেমি চত্বরটা সরগরম থাকে এমনিতেই। তবে এদিন যেন উঞ্চতা একটু বেশি। সকাল থেকেই সেখানে উপস্থিত প্রচুর সংখ্যক শিশু। সবাই এসেছে তাদের জন্য বিশেষ বইমেলা উপভোগ করতে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজন করেছে ১১ দিনব্যাপী বইমেলা।  

শুক্রবার (১৬ মার্চ) সকালে একাডেমি চত্বরে হলো এ বইমেলার উদ্বোধন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। এসময় মেলার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।  

আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, শিশু একাডেমির মহপরিচালক আনজীর লিটন ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মল্লিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আর দু’বছর পর জাতির পিতার ১০০তম জন্মদিন, সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০তম জন্মবর্ষ। আমাদের পরবর্তী সময়গুলোর ভবিষ্যৎ শিশুদের হাতে। তাই তাদের বই পড়ে জ্ঞানী হতে হবে।

মঞ্চে সিসিমপুরের চরিত্ররাতিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে অল্প সময় জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন, সেই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি শিশুদের জন্য শিশু আইন প্রণয়ন করে গেছেন। আমাদের শিশুদের মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হতে হবে এখন থেকেই।

সভাপতির বক্তব্যে শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বলেন, এ বইমেলার মাধ্যমে শিশুদের মানবিক বোধের জায়গাটা বাড়বে, কেননা বইমেলা একটি জাতির মননের প্রতীক।

মেলার উদ্বোধক ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বইমেলার আয়োজন করে শিশু একাডেমি একটি উপযুক্ত কাজ করেছে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বই থেকে ভালো আর কি হতে পারে!

পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে যে পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়, সেসব বইয়ের জ্ঞান অত্যন্ত সীমাবদ্ধ। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বইয়ের যে বিশাল জগত আছে, তাতে যদি শিশুরা এসে প্রবেশ করে; তবে তারা দেখবে শুধু আনন্দ পাওয়া নয়, বরং তাদের জ্ঞানে পরিধিও বাড়ছে।

‘বই থেকে তারা জানবে এ পৃথিবী কেমন, মানুষ কেমন, মানুষ কত বিচিত্র, আর তাদের কত অসাধারণ অর্জন আছে। মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কি করছে, ক্ষতির জন্য কি করছে, তাও তারা জানতে পারবে বই পড়ে। এজন্য আমাদের বেশি বেশি বই পড়তে হবে।

এসময় তিনি মেলা থেকে সবাইকে অন্তত একটি করে বই নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিশু একাডেমি ও এভারেস্ট একাডেমি আয়োজিত শিশুদের ম্যারাথন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শিশুদের পুরস্কার তুলে দেন ড. আনিসুজ্জামান, মেহের আফরোজ চুমকি ও এভারেস্ট জয়ী মূসা ইব্রাহিম।

পরে বেলুন উড়িয়ে ও বইমেলার দ্বারের ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশুরা। এরপর শিশুদের মন রাঙাতে মেলায় আসে শিশুদের প্রিয় সিসিমপুরের বন্ধুরা।

২৬ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে। মেলায় ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।