অনেকে বনমোরগ-মুরগির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন পাখিটিকে। চলাফেরা-স্বভাবে মিল থাকলেও মথুরার রূপ নজরকাড়া।
পুরুষ পাখিটি বেশি সুন্দর। তাই বলে মেয়েটিও কম নয়। ওজন হয় এক কেজির বেশি। লেজ আর ঝুঁটিতেই এর বনমোরগ-মুরগি থেকে আলাদা। বৃহত্তর সিলেট-চট্টগ্রামের পাহাড়ি বন এদের পছন্দের আবাসভূমি। এদের ইংরেজি নাম Kalij pheasant. কালো ময়ূরও তাই বলে এদের। বৈজ্ঞানিক নাম Lophura Leucomelanos।
শুকনো প্রাকৃতিক বন এরা পছন্দ করে। সিলেটের লাউয়াছড়া বা রেমা-কালেঙ্গা বনে এদের দেখা যায়। তবে সংখ্যায় এখন কম। সাজেক ভ্যালিতেও আছে কিছু।
ছোট সাপ, ছোট ব্যাঙ, অঞ্জন, উঁইপোকা, পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, বিভিন্ন গাছের কচি পাতা, গাছের কচি শিকড়, পাতা প্রভৃতি রয়েছে এদের খাদ্যতালিকায়।
বনমোরগের মতো এরাও মাটির উপর বাসা করে। এদের শত্রু অনেক। তাই এমন জায়গা বাছাই করে যেখান থেকে সহজে শত্রুর উপর নজর রাখা যায়। মথুরানি ডিম পাড়ে ৬-৭টি। ডিমের আকার দেশি মুরগির ডিমের মতো। মথুরানি একাই ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটে ১৫-২২ দিনে। ছানারা মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। বনবিড়াল এদের প্রধান শত্রু।
খুব ভোর ও সন্ধ্যা নামার আগে এরা বেশি চরে বেড়ায়। রাতে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের নিচু ডালে থাকে। এরা ডাকে চড়া শব্দে। খুব ভালো উড়তে পারে এরা। ছানারা দু’মাসেই স্বাবলম্বী হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
এসআই