ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

লম্বা গলার সাপপাখি

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
লম্বা গলার সাপপাখি

সাপের ফণার মতো লম্বা সরু গলা-মাথা দোলানো পাখিটির নাম সাপপাখি। এদের গয়ারও বলা হয়।

ইংরেজি নাম স্নেক-বার্ড। বৈজ্ঞানিক নাম Anhinga melanogaster। ইংরেজি আরেকটি নাম Darter।  পাখিটির ঠোঁটের আগা থেকে পিঠ হয়ে লেজের ডগা পর্যন্ত মাপ ৯৮ সেন্টিমিটার (পুরুষ), ৯২ সেন্টিমিটার (মেয়ে)।

শুধু গলা-ঠোঁটের মাপ হচ্ছে পুরো শরীরের এক তৃতীয়াংশ। এদের সঙ্গে পানকৌড়ির মিল অনেক।

পানির নিচে এরা এ নাগাড়ে থাকতে পারে মিনিট তিনেক। অসাধারণ কৌশলে মাছ ধরে খায়। পানির নিচ দিয়ে যখন চলে তখন গোটা শরীর সাপের মতো মনে হয়। গতিও থাকে টর্নেডোর মতো।  

সাপপাখির গলা সরু, গোলাকার ও লম্বা, মাথা ছোট। ঠোঁট ছোট ও চোখা। ঠোঁট ও পা হলুদ। আঙুল চারটি, অনেকটা হাঁসের পায়ের মতো। মাথা-ঘাড়-গলা লালচে-বাদামি। সাদা খাঁড়া একটা টানও আছে। পাখার মূল পালক কালো। উজ্জ্বল-বাদামি চোখ। খুব বেশি রঙচঙা না হলেও দেখতে সুন্দর। সাপের মতো ছোবল দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে এরা মাছ ধরে। দক্ষ ডুবুরি, উড়তেও পটু।  

এরা পানির পাখি। খায় ছোট-মাঝারি মাছ, ছোট ব্যাঙ, ছোট শামুক, জলফড়িং ও জলজ উদ্ভিদের নরম ডগা। সুযোগ পেলে ঢোঁড়া সাপের বাচ্চাও খায়।

শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণের মধ্যে এরা বাসা বাঁধে। দুজন মিলে বাসায় বানায় খড়কুটো, শুকনো-কাঁচা ডাল দিয়ে। বাসা বেশ অগোছালো। ডিম পাড়ে ৩ থেকে ৬টি। ডিম চুরি হলে বা অন্যরা খেয়ে ফেললে ২০-২৫ দিন পর আবার ডিম পাড়ে। ডিমের রং ঘোলাটে সাদা, তাতে নীলচে আভা। ডিম ফোটে ২৬ দিনে। বাচ্চাদের লোম ১২ দিনের মধ্যে গজিয়ে যায়। উড়তে শেখে ৪৫ দিনে। বাংলাদেশে এদের এখন দেখা যায় না বললেই চলে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।