ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুয়েত

কুয়েত থেকে জাহিদুর রহমান

বাংলাদেশকে বদলে দিতে চান কুয়েতের ‘প্রিন্স’

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
বাংলাদেশকে বদলে দিতে চান কুয়েতের ‘প্রিন্স’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সোবহান (কুয়েত) থেকে: রাজতন্ত্রের কুয়েত। সেখানে বাংলাদেশের কমিউনিটির কাছে তার পরিচয় ‘প্রিন্স’।

তিনি সহিদ ইসলাম পাপুল (৪৮)। বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার রায়পুরের ছেলে।

শূন্যহাতে মরুভূমির এই দেশে এসে নিজের মেধা, সততা আর পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন সাতটি বৃহ‍ৎ প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানের গাড়ির সংখ্যাই ১২ শতাধিক। তার অধীনে কাজ করেন প্রায় দু’শ কুয়েতিসহ সাড়ে ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। যাদের মধ্যে ১০ হাজারই বাংলাদেশি।

কুয়েতে থাকলেও প্রতি মূহুর্তে হৃদয়ে অনুভব করেন দেশের মাটির টান। মরুভূমির এই দেশকে অনেক দিয়েছেন। এবার সমৃদ্ধ করতে চান নিজের মাতৃভূমিকে। নিজ দেশে বৃহৎ বিনিয়োগসহ দেশের বাইরে বিশেষ করে আরব দেশগুলোতে বদলে দিতে চান বিদ্যমান চিরচেনা বাংলাদেশের চেহারা। প্রবাসে স্বদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নেও কাজ করতে চান তিনি। দেখা করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে।
 
‘আমি ম্যাজিশিয়ান। দেশের জন্য ম্যাজিক দেখাতে চাই। কিন্তু সেই ম্যাজিক দেখানোর স্টেজ নেই’- আক্ষেপ করে সহিদ ইসলাম পাপুল বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী নেত্রী। তার সাহসের তারিফ করতে হয়। সেটা আছে বলেই নিজেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছেন। এবং তিনিই পারবেন। কোনো মোহ বা আকাঙ্ক্ষা থেকে নয়। বরং দেশপ্রম থেকে। আমি আমার মেধাটুকু দিয়ে কেবলমাত্র দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই দেশের জন্য নিজেকে নিবেদন করতে চাই’, যোগ করেন রাজনীতির বাইরে থাকা প্রবাসী এই সফল উদ্যোক্তা।

নোয়াখালী জেলার রায়পুরের কেরয়া কাজীবাড়ির কাজী নুরুল ইসলামের সাত ছেলে-মেয়ের (৫ ছেলে ২ মেয়ে) মধ্যে পঞ্চম সহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে ‘মারাফি কুয়েতিয়া’ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।

তার নিরাপত্তায় সদা নিয়োজিত থাকতে দেখা গেলো এক আরবকে। যিনি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। আরেকজন আইভরিকোস্টের কৃষ্ণাঙ্গ। সাবেক সেনা কর্মকর্তা। নামটি-ও বেশ, ইনোসেন্ট।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৩১টি দেশের বহু নাগরিকের কর্মস্থলের ঠিকানা কুয়েতে তার হাতে গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের এই নাগরিককে প্রতিষ্ঠিত ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে অনুসরণীয় উল্লেখ করে স্থানীয় কুয়েত টাইমসসহ আরবের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রায়ই ছাপা হয় প্রতিবেদন ও সাক্ষাৎকার।

কুয়েত জুড়ে ইলেকট্রিক্যাল কন্সট্রাকশন, ইন্টারন্যাশনাল মানি রেমিট্যান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং মেইনটেন্যান্স (অয়েল অ্যান্ড গ্যাস), ইউএস আর্মি ও জাতিসংঘের সঙ্গে মিলিটারি সাপোর্ট কন্ট্রাক্ট, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্টেশন লজিস্টিক, আর্মড, নন আর্মড আইটি সিকিউরিটি, ফিশিং, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট, ইন্টারনাশনাল ব্র্যান্ড ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির স্পন্সর, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সিসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে আলোচিত এই বাণিজ্যিক গ্রুপটি।

পাশাপাশি কুয়েতে আমেরিকান আর্মি অ্যাসোসিয়েশন ও আমেরিকান বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য। বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি, বিজনেস কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও মর্নিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেরও চেয়ারম্যান সহিদ ইসলাম পাপুল।

এছাড়াও দেশে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ও রিক্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান তিনি।

কথাবার্তায় সাদাসিধে। বিনয়, সহমর্মিতা আর সৌজন্যতায় প্রবাসীদের কাছে ‘আপনজন’। চড়েন রোলস রয়েসের লেটেস্ট ‘বেন্টলে’ মডেলের গাড়িতে। কিন্তু কথা বলেন নকিয়ার তৈরি বছর দশেকের পুরনো মডেলের ‘ফিচার’ হ্যান্ডসেটে! যদিও এর পেছনে কোনো বিশেষ ‘রহস্য’ নেই বলেও দাবি তার।

বাংলাদেশের জন্য কিছু যদি করতেই হয় তবে প্রতিবন্ধকতা কোথায়? রাষ্ট্রের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গেই বা দেখা করার প্রয়োজনীয়তা কি? ‘এক কথায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা’, সহাস্য উত্তর সহিদ ইসলাম পাপুলের।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রবাসে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। এর মধ্যে বহু তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন। যারা ব্যবসা বাণিজ্যকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছেন। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা আর পরিশ্রমে বাংলাদেশের অনন্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন প্রবাসে। নিজেরা সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন সেসব দেশের সরকার, শীর্ষ ব্যবসায়ী, রাষ্ট্রনেতা, রাজনীতিবিদ, সোশ্যাল লিডার, প্রশাসনসহ প্রভাবশালীদের সঙ্গে।

এখন বিশ্বায়নের যুগে এই ব্যক্তি সম্পর্কগুলোকে কাজে লাগিয়ে সমষ্টিক উন্নতি করতে হবে।

কেউ প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন। কিংবা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নিজের তত্ত্বাবধানে তার কার্যালয়ে এসব তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি এনআরবি ডেক্স করতে পারেন। হতে পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া কিংবা বিশেষ কোনো দেশ নিয়ে। আলাদা আলাদা গ্রুপে ভাগ হতে পারে। ‘এনআরআই’দের নিয়ে এভাবে সফল হয়েছে ভারত।

এভাবে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের গ্রুপ করে আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্প, ফ্লাইওভার, বাস-ট্রেনের মতো গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিপিং, নদী ও সমুদ্র পরিবহন, ওয়্যারহাউজ, বন্দরের সুবিধা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে পারি। এ মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করা। যে শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে। নন রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান অর্থাৎ এনআরআই এভাবেই বহির্বিশ্বে ভারতকে উজ্জ্বল করেছে। আমার এসব চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন প্ল্যাটফর্ম। যা বাংলাদেশে এখনো ডেভেলপ করেনি। কারণ দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক অব্যবস্থাপনা আর রাজনৈতিক পরিস্থিতি।

তাই নিজ দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে একটি ডেক্স খুলে এই সমস্যাগুলো নিরসন করা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধান বা ডেক্স ছাড়া কি বিনিয়োগ সম্ভব না?

দেখুন প্রবাসী যিনি বিনিয়োগ করবেন তার পরিস্থিতি ও মানসিকতা আপনাকে বুঝতে হবে। একটি বিষয়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটির জন্য যে সময়ের প্রয়োজন, সেটি কিন্তু তিনি দিতে পারবেন না। এছাড়া আরো অনেক ব্যবস্থা আছে, সমস্যা আছে। সে ব্যাপারে হয়তো বিনিয়োগকারীর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। যে কারণে সূচনাতে মনে হবে তিনি হোঁচট খাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি সামলে উঠে সেই কাজটিই সহজে করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সেই প্রস্তাবিত ডেক্স। এই কাজগুলো করার জন্যে প্রয়োজন ব্যাপক পরিকল্পনা আর প্রজেকশন।

ধরুন প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ডাকলেন। কি আশা জাগাতে চান?

কোনো আশাবাদ নয়। কাজ করতে চাই। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের নিয়ে এনআরবি বিজনেস ডেক্স করে সবাইকে দেশের কাজে লাগাতে বলবো। তাদের নিয়ে বিভিন্ন দেশে দূতাবাস ও সরকারের হয়ে সাপোর্ট গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে।

এতো গেলো সমষ্টিগত বিষয়। ব্যক্তি সহিদ ইসলাম পাপুল হিসেবে আপনার সক্ষমতা কতটুকু? যে দেশে আপনার বিশাল ব্যবসা সেই কুয়েতই তো অঘোষিত ভাবে বন্ধ রেখেছে জনশক্তি আমদানি। ভিসা পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে!

ঠিক বলেছেন। এখানে আমার কাজ করার বহু সুযোগ। উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল বা জিসিসিভুক্ত দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার, প্রশাসন, ব্যবসায়ী মহলসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্টতা রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগানো যেতে পারো। তবে মনে রাখতে হবে। আমি ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠান নই। আমি হয়তো ব্যক্তি বা গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর স্বার্থ সুরক্ষা করতে পারবো। সবার নয়। এখানেই দরকার সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা।

সরকার আমাদের সহযোগিতা করুক। আগামী ৫ বছরে এই অঞ্চলে আরো নতুন ১০ লাখ জনশক্তি আমরা প্রেরণ করতে পারবো। ভারত যেটা পেরেছে। হাইটেক, হাই প্রফেশনাল, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, আইটি স্পেশালিস্ট, ফিনান্সিয়াল স্পেশালিস্টসহ বিভিন্ন কাজের কারিগর পাঠিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। এভাবে আমরাও তো পারি। এছাড়াও অফিসিয়াল জব, ট্রেড ওয়েল্ডার, ফেব্রিকেশন, মেকানিক্সসহ বিভিন্ন কারিগরি কাজের অভিজ্ঞদের আমরা পাঠাতে পারি। এখন অদক্ষ বলে কোনো কথা নেই। সবাই একটা না হয় অন্যটাতে দক্ষ। এতে একদিকে যেমন দেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। অন্যদিকে বাড়বে কর্মসংস্থান। এভাবেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

এছাড়াও বিভিন্ন দেশে ইক্যুইটি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ বিভিন্ন ফান্ড রয়েছে। যেগুলো নিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমরা কাজে লাগাতে পারি। ভারত, মালেয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এমন অনেক ফান্ড চলে যাচ্ছে।

সরকার একটি ভালো কাজ করেছে। প্রবাসীর জন্যে তিনটি ব্যাংক দিয়েছে। এর একটিতে আমার বিনিয়োগ রয়েছে। এলপিজি সেক্টরে বিনিয়োগের ইচ্ছে আছে। পরিকল্পনা আছে, উন্নত মানের মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট করার। যারা এখান থেকেই মেধা ও দক্ষতায় নিজেদের গড়ে তুলবেন বিশ্ব মানের হিসেবে। এমন অনেক চিন্তাই আছে। তবে এসব চিন্তা করা যত সোজা। এদেশে বাস্তবে রূপ দেওয়া ততো কঠিন। তাই আমি বিশ্বাস করি এদেশে প্রধানমন্ত্রীর হাতের স্পর্শ ছাড়া এগুলো করা প্রায় অসম্ভব।

এবার আসি কুয়েতের ভিসা প্রসঙ্গে। আমি বলবো, এখনো একটি লুকোচুরি আছে। লেবার ডিপার্টমেন্টে যান। বলবে বাংলাদেশের জন্য ভিসা ওপেন। এবার যান মিনিস্ট্রি অব ইন্টেরিয়রে। বলবে ক্লোজড। সিক্রেট পাসওর্য়াড দেওয়া আছে। যার কাছে গেলে এটা উন্মুক্ত করা যেত তার কাছেই এ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। অথচ এ নিয়ে কিন্তু দেন দরবার ও কম হয়নি।

কে সে? আছে। রহস্যময় হাসি সহিদ ইসলাম পাপুলের ঠোঁটে। আমাদের সামর্থ্যগুলো কাজে লাগান। আরবদের সঙ্গে লবিস্ট হিসেবে কাজ করতে আমরাই যথেষ্ট।

আমি ম্যাজেশিয়ান। স্টেজটা দেন। ম্যাজিক দেখাবো। হলফ করে বলছি। যে ম্যাজিক বদলে দেবে প্রবাসে দেশের ইমেজ। যোগ করেন কুয়েতের এই ‘প্রিন্স’।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
জেডএস

** মরুতেও খাঁটি, দেশেই বিষ
** দিওয়ানিয়ায় দিওয়ানা
** তপ্ত মরুতে বাংলার আর্তনাদ
** রাজনীতিতেই যত সুখ!
** কুয়েতে ‘অ, আ, ক, খ’
** ‘ডাখা মাত্রই ফাওয়া যায়’

** ‘পচা’ শব্দটাই নিষিদ্ধ যেখানে
** ভালো নেই মরু জাহাজের নাবিকরা
** গৃহশ্রমের বাজারের হর্তাকর্তা দুই মোল্লা
** মরুর বুকে ধূসর জীবন
** ত্যাগে শীর্ষে ইমেজে পেছনে
** মরেও শান্তি নেই কুয়েতে!
** কুয়েতের রক্তচোষা মানুষ
** কুয়েতে রচনার বাংলাদেশ রচনা
** গাড়ি নতুন, ফোন পুরনো!
** ‘আঁততে আর বাংলাদেশত যাইতাম মনে ন হ’
** ব্যাডা মাছ, বেডি মাছ!
** ‘ধরা পড়লে রক্ষা নেই, কুয়েত থাকার সুযোগ নেই’
** কুয়েতে একখণ্ড ‘বাংলাদেশ’ বাংলা মার্কেট
** কুয়েতের রাজধানী
** সবার উপর দেশ
** কুয়েতে সবাই এমপি!
** সেই ‘ছোট মানুষটিই’ কুয়েতের বড় ব্যবসায়ী
** কুয়েতের বাতাসে ধ্বনিত হয় বাংলা
** কুয়েতের ডাক্তার আপা
** ‘জীবন যুদ্ধ কইত্যে কইত্যে একটা জায়গায় পৌঁছাইছি’
** কুয়েতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সেনা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ
** আইনে নেই, তবুও বেআইনি চর্চা
** পরিবেশ পেলে বিনিয়োগ যাবে কুয়েত থেকে
** কুয়েতের জন্যে বাংলাদেশের আত্মত্যাগ
** কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ
**  কুয়েতে বাংলাদেশের ‘প্রিন্স’ সহিদ
** হয়রানি ও নাজেহালের শিকার হচ্ছেন প্রবাসীর
** অলিদের বঞ্চনা দেখার কেউ নেই
** শিল্প-সাহিত্যেও পিছিয়ে নেই প্রবাসীরা
** বাংলাদেশিদের কাজের ঠিকানা সুলাইবিয়ার ফল-সবজির বাজারও
** পরিবর্তনের দূত মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দিন
** কুয়েতে মানবতার ফেরিওয়ালারা!
** সততা আর নিষ্ঠা থাকলে ঠেকায় কে?
** মরুর বুকে বুকভরা নিঃশ্বাস
** শ্রমিকদের মাথার মুকুট আব্দুর রাজ্জাক
** আরব সাগর থেকে হিমেল বাতাসে ভর করে এলো ছন্দ
** মরুর কুয়েত সবুজ চাদরে ঢাকছেন নাফিস জাহান
** ফেব্রুয়ারিতেই খুলনার মারুফের জীবনে আসছে পূর্ণতা!
** কুয়েতে গুলশান!
** কুয়েতের অ্যাম্বাসেডর!
** জন্ম কুয়েতে, হৃদয় বাংলাদেশের
** সূর্য ওঠার আগেই ঘুম ভাঙে চট্টগ্রামের শাহজাহানের
** ধূসর মরুভূমিতে সবুজ স্বপ্ন!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কুয়েত এর সর্বশেষ