ঢাকা: ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসার) এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে করা রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওয়াসার এমডির আইনজীবী বলেন, এমডির নিয়োগ আইন অনুসারে হয়েছে। ২০০৯ সালে এ নিয়োগ হয়ে গেছে। এ আবেদন এখন অকার্যকর। আর এটি জনস্বার্থে রিট, নাকি ব্যক্তিস্বার্থে- সেটির উল্লেখ নেই। বর্তমান এমডির সময়ে ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে এমডির নিয়োগ নিয়ে একটি রিট করা হয়েছিল। সেটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করা হয়েছে। আর অন্য একটি বেঞ্চে ওয়াসার এমডির বেতন ও অপসারণ নিয়ে একটি রুল বিচারাধীন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ওয়াসার এমডির বিষয়ে একটি অনুসন্ধান চলছে। সেটির বিস্তারিত আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জানাব। এরপর মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রোববার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটের পরে তিনি জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রবিধানের শর্ত না মেনে ২০০৯ সালে তাকসিম এ খানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটি তার ছিল না।
ফলে তার নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে, তার অনুসন্ধানের নির্দেশনা রিটে চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে নিয়োগ প্রবিধানের শর্ত না মেনে ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তাকসিম এ খানের নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-২), বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানকে বিবাদী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২২
ইএস/আরএইচ