ঢাকা: চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীর প্রতিবাদ করায় ১৯ বছর আগে রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে গুলি করে খুনের মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালদ-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবু, চায়না বাবুল ওরফে বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার ওরফে খায়রুল এবং পাতলা সুমন ওরফে সুমন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন আদালতে হাজির হন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।
এসব তথ্য জানান, সংশ্লিষ্ট আদালতের সাটলিপিকার সোহানুর রহমান।
জানা যায়, বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ এ পড়ার পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসায় ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর ১৫-২০ মিনিট পর কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বিপু। বিপুর খালা রোক্সনা আক্তার ও পাশ্ববর্তী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীর প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
কেআই/জেডএ