ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তার ৬ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তার ৬ বছরের কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় দুদকের মামলায় আব্দুর রহিম (৪৮) নামে এক গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদলত। এছাড়া ২০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলামের ওই ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- জয়পুরহাট জেলার বুলুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো: কামরুল ইসলামের ছেলে মো: আব্দুর রহিম, গ্রামীণ ব্যাংক হরিনারায়নপুর কুষ্টিয়া শাখার ব্যবস্থাপক তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার কৌসুলি অ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন।  

তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণগ্রহিতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত কিস্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রায় ৩০জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। অভিযোগ  প্রমাণিত হলে আব্দুর রহিমকে দুটি ধারায় ৬ বছর ও ৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে আরও ১০ মাসের সাজা খাটার আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

আদালত সূত্রে জানা যায়, মো: আব্দুর রহিম ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের নভেম্বর সময়কালে ঋণগ্রহিতাদের কাছ থেকে সংগৃহীত কিস্তির টাকা ব্যাংক তহবিলে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। সবমিলিয়ে এ অর্থ প্রায় ১১ লাখ টাকা।  এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কিস্তি প্রদানকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিললে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আব্দুল গাফফার ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ৪ ধারায় অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।