ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফখরুল-আব্বাসের জামিনের ফয়সালা হতে পারে রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
ফখরুল-আব্বাসের জামিনের ফয়সালা হতে পারে রোববার

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে শুনানি হবে রোববার (৮ জানুয়ারি)। আপিল বিভাগের রোববার কার্যতালিকায় প্রকাশিত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।    

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন।

পরদিন বুধবার (৪জানুয়ারি) জামিনাদেশ স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন  আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ওই দিন পর্যন্ত হাইকোর্টে দেওয়া জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা।

ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সগীর হোসেন লিয়ন।

প্রসঙ্গত ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন ফখরুলকে গ্রেফতার না করলেও পরদিন রাতে বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

সেদিন আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানালেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপরই উচ্চ আদালতে তাদের জামিন আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
ইএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।