পাবনা: পাবনায় এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় চার যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই অভিযোগে শিশু বয়সী একজনকে পাঁচ বছরের আটকাদেশ এবং তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আমিনপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের মৃত মুজিবরের ছেলে মো. সজিব (২০), শ্রী সম্মু কর্মকারের ছেলে শ্রী সুমন কর্মকার (২২), কুদ্দুস মণ্ডলের ছেলে মো. ইমন মণ্ডল (২৪), খন্দকার মঞ্জুর মোরশেদের ছেলে খন্দকার জোছেফ (২৪) ও কদিমালঞ্চি গ্রামের মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. নাহিদ হাসান (১৫)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী রাজধানীর মিরপুরের একটি স্কুল থেকে ঘটনার বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর করোনাকালে পাবনার আমিনপুরের ভবানিপুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই স্কুলছাত্রী। আসার পর থেকেই বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিত একই এলাকার যুবক নাহিদ। প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হওয়ায় ও বছরের ৭ জুন রাতে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে আসামিরা মেয়েটির হাত-মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে আমিনপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আবদুর রকিব সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান আলী মণ্ডল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৩
আরএ