ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কয়েকদিনের মধ্যেই বিষয়টি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২২ এর উপর বিরোধী দলের সদস্যদের যাচাই-বাছাই প্রস্তাবের উপর বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিলটি পাসের জন্য আইনমন্ত্রী সংসদে উপস্থাপন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বিলটির উপর আলোচনার সময় গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার দাবি জানান।
এর পর বিলটির উপর বক্তব্যের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচার নিয়োগের ব্যাপারে সংসদ সদস্যরা আইন করার কথা বলেছেন। উনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, এই আইনটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। কিছুদিনের মধ্যে সংসদে আনতে পারব। এছাড়া উনারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন নিয়োগ আইনের কথা বলেছেন সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ আইনটিও ওনারা এই সংসদ চলাকালে দেখতে পাবেন।
এদিকে সরকার আদালতের মামলার জট কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কম জট কমে আসছে বলেও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ওনারা (বিরোধী দলের সদস্যরা) যেটা বলেছেন সঠিক বলেছেন যে মামলার জট আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মামলা জট কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি মামলার জট কমছে।
গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধই বলি আর সরকারের ব্যর্থতাই বলি দ্রব্যমূল্য মানুষের জন্য দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। নতুন পে-স্কেলের জন্য সরকারির কর্মচারিরা দাবি জানাচ্ছেন। তারা চলতে পারছেন না। অবশ্য যারা দুর্নীতি করে তাদের বিষয়টি আলাদা। এই অবস্থায় এই আইনটি পাস হলে জনপ্রশাসনে অসন্তোষ বাড়বে। এটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার।
জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে আইন করার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। প্রসিকিউশন নিয়োগেও আইন করার কথা ছিলো সেটাও হয়নি। আশাা করি আইনমন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এসকে/এসএএইচ