ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফরিদপুর সদরের ১০ ইউনিয়নের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আইনি নোটিশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ফরিদপুর সদরের ১০ ইউনিয়নের সীমানা পুনর্নির্ধারণে আইনি নোটিশ 

ঢাকা: ফরিদপুর সদরের ১০ ইউনিয়নের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ১৪ জন বাসিন্দার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এবং ইমেইল এ নোটিশটি পাঠান।

পরে হুমায়ন কবির পল্লব জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিগ্রিরচর, কৈজুরী, কানাইপুর, কৃষ্ণপুর, ঈশান গোপালপুর, গেরদা, আলিয়াবাদ, অম্বিকাপুর ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি গেজেট জারি করে সরকার।
কিন্তু সীমানা পুনর্নির্ধারণের সংশ্লিষ্ট আইনে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ না করে ওই সীমানা নির্ধারণ গেজেট প্রকাশিত হয়।

নিয়মবহির্ভূতভাবে সীমানা নির্ধারণের ফলে এসব ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকরা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে সীমানা ভাগ করার ফলে একই পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এবং ফরিদপুর পৌরসভার ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোক পৌরসভার ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও ইউনিয়ন পরিষদে তথা পৌরসভায় হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হচ্ছে।

জমি-জমা রেজিস্ট্রেশন, জন্ম নিবন্ধনসহ সব সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরোধ তৈরি হচ্ছে। পদ্মা নদী তীরবর্তী নর্থ চ্যানেল এবং ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের হাজার হাজার ভোটার ওই ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা নয় অর্থাৎ অবৈধভাবে হাজার হাজার ভোটার নর্থ চ্যানেল এবং ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ ফরিদপুর জেলার অধিভুক্ত।  

অন্যদিকে লেরচাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জ এবং ফরিদপুর জেলার সীমানা চিহ্নিত না হওয়ায় ওই ২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চরম সীমানা-বিরোধ, মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই থাকে।  এসব বিষয় উল্লেখ করে সীমানা নির্ধারণী গেজেট সংশোধন করে সীমানা অবিলম্বে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে।  

এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদপুর সদর, হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।