ঢাকা: রাজধানীর ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকায় বাসের ধাক্কায় নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নাদিয়া আক্তারের (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় ভিক্টর পরিবহনের চালক ও হেরপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া দুজন হলেন- বাসের চালক লিটন (৩৮) ও হেলপার আবুল খায়ের (২২)।
সোমবার সকালে মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন।
তবে রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক তাদের প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান জানান, নিহত নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসটির চালক ও হেলপারকে আসামি করা হয়।
এর আগে রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভাটারা এলাকায় ওই বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা নাদিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় তার বন্ধু মেহেদী হাসান। নিহত নাদিয়া ওই ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী। তার বাড়ি নারায়গঞ্জের ফতুল্লা থানার চাষাড়ায়। এক সপ্তাহ আগে উত্তরায় একটি হোস্টেলে উঠেছিলেন নাদিয়া।
এ দুর্ঘটনার পরপর কাওলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নিহত নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভিক্টর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল এবং কাওলা এলাকায় বাস স্টপেজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সন্ধ্যায় তারা সড়ক থেকে সরে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
কেআই/এসআইএস