ঢাকা: রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বেসরকারি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় ভিক্টর পরিবহনের চালক লিটন ও তার হেলপার আবুল খায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতের দুজন বিচারক পৃথকভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ২৩ জানুয়ারি এ দুই আসামির দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তিনি।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম আসামি লিটনের ও অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম আসামি আবুল খায়েরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সিএমএম আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই রণপ কুমার এ তথ্য জানান।
গত ২২ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভাটারা এলাকায় ওই বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা নাদিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় তার বন্ধু মেহেদী হাসান। নিহত নাদিয়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী। তার বাড়ি নারায়গঞ্জের ফতুল্লা থানার চাষাড়ায়। এক সপ্তাহ আগে উত্তরায় একটি হোস্টেলে উঠেছিলেন নাদিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
কেআই/আরবি