ঢাকা: ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীনের ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ ১৯ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ই-অরেঞ্জের লেনদেনে এনবিআরকে রাজস্ব দিয়েছে কিনা তাও জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম। বিএফআইইউ’র পক্ষে ছিলেন শামীম খালেদ আহমেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
পরে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে কিনা, জানতে গত বছরের ৩ নভেম্বর আদালত আদেশ দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যানকে হলফনামা করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন না দিয়ে আবারো সময় চেয়েছেন। আদালত দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ফের আদেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে আদেশ প্রতিপালন না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আদালত।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক গত মার্চে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে প্রতিবেদন চান। সে আদেশ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিবাদীরা প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন>>
>>> ভারতে আটক পরিদর্শক সোহেলের পদে নতুন কর্মকর্তা
>>> ভারতে আটক পরিদর্শক সোহেলকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
ইএস/আরআইএস