ঢাকা: জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের নামে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। সেই মর্মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।
বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ চার্জশিটে 'দেখিলাম' লিখে তা পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন। এদিন জামিনে থাকা আল আমিন আদালতে হাজির ছিলেন।
সিএমএম আদালতে মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শেখ রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
গত বছর ১ সেপ্টেম্বর আল আমিনের নামে স্ত্রী ইসরাত জাহান মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরদিন অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আল আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না দেওয়ায় তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন আল আমিন। সবশেষ গত ২৫ আগস্ট আল আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করলে এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় আল আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এরপর তিনি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করেন।
মামলা দায়েরের পর গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন আল আমিন। আট সপ্তাহ পর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে নিয়মিত জামিন পান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
কেআই/এসআই