শেরপুর: শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক।
এদিকে একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের সংসারে।
তিনি বলেন, ঘটনার ২/৩ বছর আগে থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান মকবুল। ঘটনার পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর
থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন।
অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, বিচার চলাকালে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
এনএস