ঢাকা: নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরদিনই আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ইরফান সেলিমের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী প্রাণনাথ।
এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) একই আদালত পাঁচ আসামির নামে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ইরফান সেলিম আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অপর চার আসামি হলেন- ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল হক পাঁচজনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
কেআই/আরবি