ঢাকা: রওশন আরা আক্তার তুলি, নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার পর তার স্ত্রী উল্লেখ করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তাকে চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়।
পরে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী এ সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করে জেরা করেন। জেরায় উঠে আসে, সোহেল চৌধুরীর বাসা ভাড়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে বান্ধবী আফরিন সুলতানার জন্য ফোন দেন তুলি। সোহেল চৌধুরীর মায়ের সঙ্গে তার কথা হয়। পরে সোহেল চৌধুরীর মোবাইল নম্বর পান। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইলে কথা হতে থাকে।
যদিও রাষ্ট্রপক্ষের জেরায় তুলি বলেন, নায়কের ফ্যান হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা হতো।
এদিকে মামলার নথি থেকে দেখা যায়, সোহেল চৌধুরী খুনের পর পুলিশের কাছে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তুলি। সেখানে স্বামীর নাম উল্লেখ করেন সোহেল চৌধুরী।
তবে এদিন সাক্ষ্য দিতে এসে বলেন, তিনি সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী নন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাকে জেরায় বলা হয়, স্ত্রী দাবি করে সম্পত্তির ভাগ নিতে চেয়েছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, না।
এরপর এদিন ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার মেজর (অব.) এনামুল হাফিজ খান ওরফে এনায়েত হোসেন সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সোহেল চৌধুরী ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে ক্লাবের নিচতলায় তর্কাতর্কি হয়। তিনি এসে তা থামান। তিনি সোহেল চৌধুরীকে চলে যেতে বলেন। সোহেল চৌধুরী চলে যান। তবে আশিষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
কেআই/এমএমজেড