ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের নামে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার চার্জশিটটি উপস্থাপন করা হয়।
আদালত তাতে ‘দেখিলাম’ লিখে পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিয়াকত আলী এ তথ্য জানান।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মনিরুজ্জামান এ মামলায় সাহেদের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ ও প্রতারণার সহযোগী কাজী রবিউল ইসলাম। এ ছাড়া সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড, রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেড ও রিজেন্ট ডিসকভারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস লিমিটেড নামে তিন প্রতিষ্ঠানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আসামিরা ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করে মানিলন্ডারিং করেন।
এদিকে সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম মারা যাওয়ায় এবং হাসপাতালটির পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের নামের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম।
২০২০ সালের ৬ জুলাই উত্তরায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। একই বছরের ১৫ জুলাই তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের নামে একের পর এক মামলা দায়ের হয়।
অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
কেআই/আরবি