ঢাকা: নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সামসুল হক নামে এক কৃষককে হত্যার দায় থেকে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে বাকি দুইজনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
এই সাতজন বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছিলেন।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে দণ্ডপ্রাপ্তরা জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলামকে মারধর করে। পরে কৃষক সামসুল হক সেখানে গেলে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সামসুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নুরজান বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা ও জখমের মামলা দায়ের করেন।
বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২২ মে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাঁচ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশ উপজেলার গালিমপুর এলাকার আব্দুল গাফফার, মো. তোতা মিয়া, মো. আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, মোছা. রুপবান ও মারফত আলী।
পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবদুল গাফফার, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়া।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
শুনানি শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি সাত আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, আসামি তোতা মিয়ার বয়স ৮০’র ওপরে। আর রুপবান নারী। এসব বিবেচনায় দুইজনের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেননি। এখন এই দুইজন কারামুক্তি পাবেন। তবে বাকি পাঁচজনের বিষয়ে রায় স্থগিত করেছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে যারা কারাগারে আছেন তাদের কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইএস/এএটি