ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ২ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ২ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের টুমচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রুহুল আমিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই ভাইসহ তিনজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ 

এ মামলায় একই পরিবারের পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মাসুম (৩৭) ও তার ভাই সিরাজুল ইসলাম (৩১) এবং একই গ্রামের মো. বুলু মিয়া (৪৭)।  

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল ইসলামের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৪২), ছেলে নাজিম (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৭) ও ইউসুফ (২৯) এবং মেয়ে জান্নাত আরা (২৫)।  

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের গোয়া গাজী বাড়ির রুহুল আমিনের সঙ্গে জমি নিয়ে একই বাড়ির নুরুল ইসলামের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১৬ সালের ১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে নুরুল ইসলামের ছেলেরা রুহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে তার মাথায় হকিস্টিক এবং লাঠি দিয়ে  আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন রুহুল আমিন। এ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার। হামলার সময় নিহত রুহুল আমিনকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৫২), তার ছেলে আব্দুর রহিম (২৫) এবং পুত্রবধূ ফেন্সী বেগম (২৫)।

এ ঘটনায় ওইদিন নিহতের ছেলে মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে নুরুল ইসলামের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রীসহ নয়জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশ মামলার তিন নম্বর আসামি মাসুমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেন।  

হত্যা মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ময়নাল হোসেন খান। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই তিনি এজাহারভূক্ত ৮ আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। এছাড়া মামলা থেকে সোহাগ হোসেন (২৯) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামির অব্যাহতি চান। শুনানি শেষে তিনজন দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বুধবার তাদের সাজা দেন আদালত। এছাড়া বাকি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী মো. সুমন মিয়া। তিনি বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। তিনজনের সাজা হয়েছে। বাকিরা খালাস পেয়েছে। সবার ফাঁসির সাজা হলে আমি সন্তুষ্ট হতাম।  

বাদী পক্ষের আইনজীবী হাসিবুর রহমান বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।  


বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।