ফেনী: জেলার সোনাগাজীতে একটি হত্যা মামলায় জামাই ও শাশুড়ির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ফেনীর আদালত।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সোনাগাজী উপজেলার চরডুব্বা গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী সফুরা খাতুন (৬০) ও ভোলার চরফ্যাশনের চর আবজাল গ্রামের মো. সেলিম খান (৫০)। দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন সম্পর্কে জামাই ও শাশুড়ি।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সোনাগাজীর চর গণেশ এলাকার প্রবাসী নুর মোহাম্মদ সোহেলের নিলুফা মঞ্জিলে কাজ করতেন সফুরা খাতুন। একপর্যায়ে লোভে পড়ে সফুরা ওই বাসায় রান্না করা খাবারে চেতনানাশক দিয়ে ২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে তার মেয়ের স্বামীসহ ওই ঘরে ডাকাতি করতে প্রবেশ করেন। ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পেলে বটি দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এ ঘটনায় আহত আসমা আক্তার তানিশা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় গৃহকর্তা প্রবাসী সোহেল বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত সফুরা ও তদন্তে উঠে আসা সেলিম খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ মামলাটি তদন্ত শেষে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম ও সোনাগাজী মডেল থানার এসআই শ্রীবাস চন্দ্র দাস ২০১৪ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত এ মামলায় ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দিজেন্দ্র কুমার কংশ বনিক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সফুরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় অপর আসামি সেলিম খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময়ে আসামি সেলিম আদালতে উপস্থিত থাকলেও সফুরা বেগম পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এসএইচডি/এসআইএ