ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাবেক মহিলা এমপির মানহানির মামলায় চারজনের কারাদণ্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
সাবেক মহিলা এমপির মানহানির মামলায় চারজনের কারাদণ্ড 

ঢাকা: সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আসমা জেরিন ঝুমুর করা এক মানহানির মামলায় চারজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ রায় দেন।


 
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন- সাহিদ ভাসানী, মো. আসাদুজ্জামান, নাসির ভাসানী ও শুকুর ভাসানী।

আসামিরা জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর আসামিপক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম আমিনুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, যে সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ সেটি ফকির মাহমুদ ওয়াকফ স্টেটের অন্তর্ভুক্ত। ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করে। আসামিরা ফকির মাহমুদের বংশধর। এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে বাদীর ভাই জাবির সরদার সোহাগ জবানবন্দি দিয়েছেন। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, ৫৭০ পেয়ারাবাগ, বড় মগবাজার হোল্ডিংস্থ ওয়াকফ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি। যার ভাড়া আমার বোন (বাদী) আদায় করেন। এতেই বোঝা যায় বাদী ওয়াকফভুক্ত সম্পত্তি নিজ দখলে রেখেছেন। সেই সম্পত্তি উদ্ধারের জন্যই স্থানীয়রা মানববন্ধন করে।
  
তিনি আরও বলেন, সাজার এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬(২)/ক ধারা অনুযায়ী আমরা আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করি। যেহেতু ইতোপূর্বে আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাই আপিলের শর্তে তারা জামিনের হকদার ছিলেন। তাই আদালতের এ আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ ও এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১ মার্চ এ মামলা করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আসমা জেরিন ঝুমু।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘৪ নম্বর নিউ ইস্কাটন রোড ফকির মাহমুদ ওয়াকফ এস্টেটের জমি জবরদখলকারী মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা ঝুমুর বিচার চাই, বিচার চাই’- নামে ব্যানার টানিয়ে দরখাস্তকারীনির মান-সম্মান এর ওপর চরম আঘাত হেনেছে। এর মাধ্যমে বাদীর মান-সম্মানের ওপর চরম আঘাত হেনেছে। এভাবে আসামিরা ৫০০ ধারার আওতায় অপরাধ করেছেন।

আদালত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে হাতিরঝিল থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সুব্রত দেবনাথ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর চার মাস সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হয়। বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষীর তিনজন আদালতে জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।