ঢাকা: পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম মামলার চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম আসামি বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সম্প্রতি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এ মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান। এছাড় তাকে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষীও সাজানো হয় বলে ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
কেআই/আরবি