ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যে কারণে খারিজ হলো ভিপি নুরের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
যে কারণে খারিজ হলো ভিপি নুরের মামলা

ঢাকা: ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের মামলা খারিজ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ মামলা আমলে না নিয়ে নুরকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

চার্জশিট দাখিলের পরও মামলা আমলে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেন ট্রাইব্যুনাল। আদেশের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার বাদী সংগীতশিল্পী ইলিয়াস আওয়ামী লীগের কোনো পদে নাই। এ বক্তব্যে তার কোনো স্বার্থহানি বা সম্মানহানি হয়েছে তা প্রমাণিত নয়। সুতরাং এ মামলা করার তার এখতিয়ার (লোকাস স্টান্ডি) ছিল না। এছাড়া এ বক্তব্য কোন ফেসবুক আইডি থেকে প্রচারিত হয়েছে তা চিহ্নিত করতে পারেননি। তাই চার্জশিট আমলে না নিয়ে নুরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় সম্প্রতি নুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। চার্জশিটে নুরকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

চার্জশিটে নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৮/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, আসামি নুরুল হক নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। যার মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করেন। তিনি দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করেন।

প্রায় দুই বছর আগে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সংগীতশিল্পী পরিচয়ে ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল নুরুল হক তার ফেসবুক পেজ থেকে বক্তব্য দেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে, এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, নুরের ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। ওই সব মন্তব্যের ভেতর ‌সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।
ইলিয়াস হোসেনের অভিযোগ, নুরুল হকের এ বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে। নুরুল হকের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।