ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় আসামির ৮ বছর কারাদণ্ড, বাদীর অসন্তোষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
হত্যা মামলায় আসামির ৮ বছর কারাদণ্ড, বাদীর অসন্তোষ

মেহেরপুর: গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মাংস বিক্রেতা সুমন হত্যা মামলায় ঘাতক আব্দুল আওয়ালকে ৮ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস।

দণ্ডিত আব্দুল আওয়াল গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া এলাকার আবুল কাসেম ওরফে খুশি মণ্ডলের ছেলে।

মঙ্গলবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় প্রদান করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ জুন বেলা আড়াইটার দিকে সুমন ব্যবসায়ীক কাজ করে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আব্দুল আওয়াল তাকে দাঁড়াতে বলেন। দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ের ওপর দুটি আঘাত করে আওয়াল। এতে গুরুতর আহত হন সুমন। স্থানীয়রা আহত সুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বামন্দীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেন। সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  

এ ঘটনায় নিহতের পিতা শমসের আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারি অফিসার গাংনী থানার উপপদির্শক (এসআই) মুক্তার আলী দীর্ঘ তদন্ত করার পর আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। মামলাটি ৩৪১/৩০৪ ধারায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়। মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আব্দুল আউয়াল দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় ৩৪১ ধারায় আব্দুল আওয়ালকে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম কৌশলি ছিলেন।  

মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী আবুল কাশেম বলেন, এই রায় আমি মানিনা। রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্ছ আদালতে অ্যাপিল করবো। দিনে দুপুরে আমার ছেলে সবার সামনে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করল। সবাই স্বাক্ষী দিল। অথচ, এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় মাত্র ৮ বছরের কারাদণ্ড। এই রায় আমি মানতে পারছিনা।

আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে আদালত ন্যায় বিচার করেছে। আমরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

বাংলাদেশ সময়:১৪৫৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।