ঢাকা: ধারের দুই লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইকরাম হোসেন মোল্লা হত্যা মামলায় বন্ধু শান্ত আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে শান্তর বন্ধু আবু সিদ্দিকের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (০৭ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুইজন বিচারক পৃথকভাবে এই তথ্য দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক এনামুল হক খন্দকার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় শান্ত স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং আবু সিদ্দিকের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় শান্তর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আরেক আসামি আবু সিদ্দিকের দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ইট-বালুর ব্যবসায় লগ্নি করতে বন্ধু শান্তকে দুই লাখ টাকা দেয় ইকরাম হোসেন মোল্লা (২২)। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাকে লাভ দেওয়া হতো। রোজার মাসে লাভ না নিয়ে টাকা ফেরত চায় ইকরাম৷ এছাড়া শান্ত নেশাগ্রস্ত হওয়ায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
টাকা ফেরত ও পরিবারের কাছে অভিযোগ করায় বন্ধুর ওপর ক্ষিপ্ত হয় শান্ত। তাই আরেক নেশাগ্রস্ত বন্ধু আবু সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পুলিশ বলছে, পরিকল্পনা করেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ইকরামকে। তার চোখও তুলে ফেলা হয়। হত্যা নিশ্চিত করে ডোবায় ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল মরদেহ।
এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা কবির হোসেন মোল্লা। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ মে রাত সোয়া ৮টা থেকে শনিবার দুপুর ১টার মধ্যে যেকোনো সময় পরস্পর যোগসাজশে আমার ছেলে ইকরাম হোসেন মোল্লাকে (২২) হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বালুর মাঠ সংলগ্ন ডোবার পশ্চিম কিনারে ফেলে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। মামলায় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
কেআই/এএটি