ঢাকা: সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে টিসিবির মাধ্যমে গরুর মাংস আমদানি চেয়ে সরকারের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (০৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান বরাবরে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, গরুর মাংস বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। কিন্তু বাজারে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুর মাংস ইতোমধ্যে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গরুর মাংস খুবই পুষ্টিকর ও খনিজ সমৃদ্ধ খাদ্য।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য গরুর মাংসের যোগান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এর লঙ্ঘন। এছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যথাযথ পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকার ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আমদানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী গরুর মাংস একটি আমদানিযোগ্য পণ্য। অপরদিকে দিকে ‘দি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার’ ১৯৭২ এর ধারা ১২ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজারমূল্য সহনীয় রাখা টিসিবির আইনি কর্তব্য। কিন্তু টিসিবি বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানি না করে তার আইনি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
তাই আইনি নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অবিলম্বে গরুর মাংসের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য এবং টিসিবির মাধ্যমে গরুর মাংস আমদানি করে বাজারে প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ