ঢাকা: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাগলনাইয়ার এক শিশুর বাম হাত হারানো ১১ বছরের শিশু ও তার পবিারকে কেন ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
ওই শিশুর বাবার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৭ মে) এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন।
সোমবার (৮ মে) এ রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিয়া।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক, ছাগলনাইয়া জোনের উপ মহাব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক শেখ আজিজুল হক নিশানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মোটুয়ার শেখ আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে শেখ আজিজুল হক নিশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রেজাউল করিম সোহাগ সরকার।
আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৩১ জুলাই বিকাল ৪টায় ওই ভাড়া বাসায় রেজাউল করিম সোহাগ সরকারের ১১ বছরের ছেলে রাফি বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা ‘দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের টেপ’ বারান্দা ঘেষা কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে। বৈদ্যুতিক শকের কারণে রাফির বাম হাত, পা-সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে গুরুত্বর জখম হয়।
এরপর তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার প্রয়োজনে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এখন তার কৃত্রিম হাত সংযোজনে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। এছাড় এ পর্যন্ত ২২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে। বিকলাঙ্গ হওয়ায় ভবিষ্যত ক্ষতিপূরণ ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। মোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছে শিশুটির বাবা। এ বিষয়টি জানিয়ে ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরাবরে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আইন অনুসারে পল্লী বিদ্যুৎ এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারতো বলে জানান আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
ইএস/এসএচ