ঢাকা: যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধরের মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের নামে হওয়া মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
বুধবার (১৭ মে) ঢাকার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
মামলার বাদী আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইসরাত জাহান এদিন আদালতে হাজির হন। তবে চার্জগঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন আল আমিনের আইনজীবী। তাই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৫ মার্চ এ মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আল আমিনের নামে স্ত্রী ইসরাত জাহান মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরদিন আল আমিনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. সোহেল রানা আল-আমিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
যৌতুক না দেওয়ায় তার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন আল-আমিন। এরপর ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করলে এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডা হয়।
এ সময় আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এরপর তিনি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ করেন।
মামলা দায়েরের পর ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন আল-আমিন। আট সপ্তাহ পর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল থেকে তিনি নিয়মিত জামিন লাভ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
কেআই/এএটি