ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু। ওইদিনই আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও সাতজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে নেন। বাদী এ লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তার প্রাণহানি ঘটানোর চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কিন্তু কোনো দলিল দেননি।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৪/১০৯/১২০(খ)/৪০৬/৪১৭/৪৬৮/৪৭৭ (ক)/৫০৬ ধারায় অর্থ আত্মসাৎ ও অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর নকশা বহির্ভূত ৯১১টি দোকান চিহ্নিত করে গত ৮ ডিসেম্বর তা ভাঙতে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানের বৈধতা পেতে সাঈদ খোকন মেয়র থাকার সময়ে দোকান প্রতি পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন তারা। অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, টাকা দেওয়ার পরও সে সময় দোকানের বৈধতা পাননি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
কেআই/আরএইচ