ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: আমীর খসরুর অব্যাহতির পরবর্তী শুনানি ৬ জুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: আমীর খসরুর অব্যাহতির পরবর্তী শুনানি ৬ জুন ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জশিট থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি হয়েছে আজ।

রোববার (২১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের এজলাসে তার পক্ষে অব্যাহতি (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

তবে এদিন আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি শেষ হয়নি। তাই পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে, এদিন মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। পরে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের পক্ষে চার্জশুনানির জন্য সময় আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করলে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করা হয়।  

আমীর খসরু মাহমুদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বছরের ১৭ জুলাই এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি শেষ হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে চার্জশুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।  

এরপর ২৪ জুলাই মামলার তিন আসামি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।  

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৮ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেকমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, তার দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। প‌রে সেখা‌নে অসুস্থতা বে‌ড়ে যাওয়ায় গত বছর তা‌কে চি‌কিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি এখন গুলশানের নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
কেআই/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।