ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানে মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে পোশাককর্মী আজহারুলের (৪০) অর্ধগলিত সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ মে) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ এই আদেশ দেন।
বিচার শুরু হওয়া দু’জন হলেন- স্ত্রী আছমা ও তার পরকীয়া প্রেমিক দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান (৬৫)। একইসঙ্গে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত আজহারুল পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি দক্ষিণখানের মধুবাগ এলাকার ইউসুফ গাজীর ৩৯ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন। নিকটস্থ সরদার বাড়ি জামে মসজিদে প্রায় ৩৩ বছর ধরে ইমামতি করে আসছেন আব্দুর রহমান। আজহারের ছেলে আরিয়ান ওই মসজিদের মক্তবে পড়ালেখা করত। আজহার নিজেও আব্দুর রহমানের কাছে কোরআন শিক্ষা করতেন। এতে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদে ওই আছমার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান ইমাম আব্দুর রহমান। এক বছর পরকীয়ার সম্পর্ক চলার পর বিষয়টি টের পান আজহারুল। এ অবস্থায় ২০২১ সালের ১৯ মে রাতে দক্ষিণখানের সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ইমামের কক্ষে গিয়ে এ বিষয়ে তার কাছ জানতে চান তিনি। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডাও হয়। বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে আজহারকে ছুরি দিয়ে হত্যা করেন আব্দুর রহমান। এরপর ছুরি ও রামদা দিয়ে মরদেহ সাত টুকরা করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে ফেলেন তিনি।
আজহার নিখোঁজ থাকার খবর পেয়ে র্যাব তার অনুসন্ধান শুরু করে। গত ২৪ মে মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ ও সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার তথ্য পায় র্যাব। পরে র্যাব ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা জানতে পারে। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে আছমাকেও গ্রেফতার করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে গত ২৩ জানুয়ারি আসমা ও আ. রহমানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
কেআই/এএটি