ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের বিটি রোড এলাকায় অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে সড়ক থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মো. রিপন প্রধানিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের পৃথক ধারায় (৭ ধারায়) আসামিকে অপহরণের দায়ে আরো ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রিপন প্রধানিয়া সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর মৃত নোয়াব আলী প্রধানিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আসামি রিপন প্রধানিয়া বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেম নিবেদন ও কু-প্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি ওই ছাত্রী তারা বাবাকে জানায়। তার বাবা রিপনকে এই ধরণের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়।  

২০২০ সালের ২৬ মে বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী নিজ এলাকা থেকে বের হয়ে একটি দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা রিপন ও তার সহযোগীরা স্কুল ছাত্রীকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় জোরপূর্বক তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কোমল পানীয় এর সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ করে।

স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, মেয়েকে তুলে নেওয়া হয়েছে জানতে পেরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। পরবর্তীতে তিনি ওইদিন রাতেই চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন এবং থানায় রিপন প্রধানিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি রিপন প্রধানিয়াকে গ্রেপ্তার করে ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ বড়ুয়া। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ আগষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি গত ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আদালতে আসমির উপস্থিতিতে বিচরাক এ রায় দেন।

মামলায় সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন, খোরশেদ আলম এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এবিএম সানা উল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।