ঢাকা: ঢাকার দোহারের মৈনট ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানিকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জুন দিন করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন্নাহার প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
আজ মামলাটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। তাই বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ঠিক করেন।
মামলার ১৫ আসামি হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহমেদ, সেজান আহমেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।
২০২২ সালের ১৫ জুলাই স্থানীয় বন্ধুদের সঙ্গে পদ্মায় ঘুরতে যান বুয়েট শিক্ষার্থী সানি। এ সময় তিনি পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন। পরে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ট্রিপল নাইন নম্বরে ফোন করে সানির নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদী থেকে সানির মরদেহ উদ্ধার করে। তবে দুর্ঘটনা নয়, বন্ধুরা পরিকল্পিতভাবে সানিকে পদ্মা নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করেছে এমন অভিযোগে তার বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বুয়েটের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সানি। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর হলেও তিনি রাজধানীর হাজারীবাগে থাকতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
কেআই/এমজে