ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষী দিয়েছেন।
এ পাঁচজন হলেন- সোনালী ব্যাংক নৌ সদরদপ্তর শাখার ম্যানেজার খন্দকার শহিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূইয়া, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) শহীদুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের সেলস ম্যানেজার এ কে এম হামিদুর রহমান ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার।
রোববার (০৪ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আহাদুজ্জামানের আদালতে সাক্ষী দেন তারা। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ৫৬ জন সাক্ষীর ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল ৫ জুন দিন রেখেছেন আদালত।
এদিকে রোববারও এ মামলার বিচারকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে আদালত চত্বরে মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদী দুদকের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হুদা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
গত বছর এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
কেআই/আরআইএস