ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২৯০ এমপির শপথের বৈধতা নিয়ে আপিলে বিএনপিপন্থী আইনজীবী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
২৯০ এমপির শপথের বৈধতা নিয়ে আপিলে বিএনপিপন্থী আইনজীবী

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর ২৯০ সংসদ সদস্যদের শপথকে অবৈধ দাবি ও তাদের পদে থাকার বৈধতা নিয়ে করা রিট ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবেদন করা হয়েছিল।

কিন্তু এতদিনও সেটি শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।  

চার বছরের বেশি সময় পর এসে ওই রিট শুনানির জন্য ফের উদ্যোগ নেয় আবেদনকারী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সে অনুযায়ী আবেদনটি রোববার (১১ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে।

রোববার আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নিজেই রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, তারা রিট শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য আবেদনটি উপস্থাপন করেছিলেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় চাওয়ায় আগামীকাল সোমবার (১২ জুন) আবেদনটি আবার কার্যতালিকায় আসবে।

২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্য শপথ নেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা সে বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ বছর। তাই দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়নি। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে শপথ নেওয়া হয়েছে। এমন যুক্তিতে একাদশ সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া শপথের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ বলেছিলেন, ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার দিন থেকে সংসদ সদস্যরা কার্যভার গ্রহণ করে থাকেন। ফলে আগে শপথ নিলেও তাতে সংবিধান বা আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি। ফলে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এরপর আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন। রোববার সেই আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য চেয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।