ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট মামলায় ২৪ জনের সাজা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি ও কপিরাইট মামলায় ২৪ জনের সাজা দণ্ডপ্রাপ্তরা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে পৃথক দুইটি মামলায় পর্নোগ্রাফি আইনে ২৪ জন আসামির পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

একই মামলার কপিরাইট আইনে এদের প্রত্যেকের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেলিম হোসেন, মুখলেছুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, রাম কর্মকার, শাহ আলম, মো. মাহিফ আরাফাত, মো. খোকন, রাহাত খান, মো. মাঈনউদ্দিন, মো. বেলাল, মো. সিরাজ, মো. মামুন হোসেন, মো. সিরাজ, মো. জাহিদ হোসেন, জহির আলম ভুঁইয়া, মো. ইব্রাহিম, রথিন সুর, মো. মেজবাহ উদ্দিন, রিয়াজ মাহমুদ, মো. নুরুল আমিন, মো. মাসুম, জয়নাল আবেদীন নিশান, সবুজ হোসেন ও মো. মোস্তফা।  

দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা লক্ষ্মীপুর পৌর সুপারমার্কেট, নিউ মার্কেট ও মজুচৌধুরীর হাট এলাকার কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজের দোকানি ও কর্মচারী।  

রায়ের সময় ২১ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। এর আগে তারা জামিন ছিলেন।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর সুপার মার্কেট, উত্তর স্টেশনের নিউ মার্কেট ও সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকায় কম্পিউটারে পর্নোছবি, বিভিন্ন শিল্পীদের অশ্লীল ভিডিও গান, সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলা ছায়াছবির কপি রাইট করে ব্যবসা পরিচালনা করছে একটি চক্র। এমন অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ওই তিন স্থানে যৌথ অভিযান চালায় র‍্যাব ও এন্টি পাইরেসি ট্রান্সফোর্স।  

এসময় পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ২৫ জনকে আটক করা হয়। পরে আসামিদের সদর থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব। পরে এন্টি পাইরেসি ট্রান্সফোর্সের তৎকালীন অপারেশন অফিসার এম আর আলম বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। একটি মামলায় ১৩ জন এবং আরেকটিতে ১২ জনকে আসামি করা হয়।  

মামলা দুটি তদন্ত করেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রতিভা রানী বর্মন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক মামলায় ১১ জন এবং অন্য মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।  

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পৃথক দুই মামলার রায় দেন।  

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।