ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামি (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।

এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও মোট ১০৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২৬ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদক কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম বাংলানিউজকে বলেন, পি কে হালদারের এই মামলায় ১০৬ জন সাক্ষী ছিলেন। তারা সবাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও বাড়তি দুজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। মামলাটিতে আজ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আশা করছি দ্রুতই এই মামলার চূড়ান্ত বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা হবে।

সাক্ষ্যগ্রহণ কালে কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে তিনি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

পরে মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
কেআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।