ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের দণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওযা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) ২৭৩ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সাইফুদ্দিন খালেদ। টুকুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন ও মামুন চৌধুরী।
রায়ে বলা হয়, এ রায় বিচারিক আদালত গ্রহণের পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২১ মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন।
কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২)(ক) ধারায় দুই বছর ও ২৭ (১) ধারায় সাত বছর এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৬ জুন তাকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে আপিলের পুনঃশুনানি শুরু শেষে ৩০ মে রায় দেওয়া হয়।
রায়ের পর টুকুর আইনজীবী সাইফুল্লাহ মামুন জানিয়েছিলেন, হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালত গ্রহণ করার দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তা করে জামিন চাওয়া হবে। তবে আমার মক্কেল মনে করছেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তিনি ন্যায় বিচার পাননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
ইএস/জেএইচ