ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ মে ২০২৪, ১৫ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বিস্ফোরণে দগ্ধ জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
বিস্ফোরণে দগ্ধ জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল 

ঢাকা: রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।  

মেহেদী হাসানের বাবা আব্দুল লতিফের করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

 

রুলে শাওনের পরিবারকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যাদের বা যে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।  

ঢাকা ওয়াসা, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।  

আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, রুল জারির পাশাপাশি হাইকোর্ট দুটি অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন। প্রথমটি হলো- কার বা কাদের অবহেলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধান করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদের নিচে নয়, এমন দুজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলেছেন আদালত। আর এ বিস্ফোরণের পর ঢাকা ওয়াসা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানিয়ে আলাদা দুটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ দুটি প্রতিবেদনও ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে।  

আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর দিন রেখেছেন।  

গত ১ মে ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ নয় জন দগ্ধ হন।  

বিস্ফোরণে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকি তিনজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।  

জবি শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শাওন (২৫) ছাড়া অন্য দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- মো. সোহেল (৪৮), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), আবদুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও মিমের ছেলে মো. আলিফ (২)। মেহেদি হাসান শাওন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিস্ফোরণে শাওনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা। গত ৬ মে সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে গত সপ্তাহে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শাওনের বাবা আব্দুল লতিফ।

আরও পড়ুন>>>

>>> বাজার করতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ জবি শিক্ষার্থী মারা গেছেন 
>>> বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বিচার দাবিতে মানববন্ধন

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।