ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আবেদন খারিজ, ড. ইউনূসের মামলা চলবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
আবেদন খারিজ, ড. ইউনূসের মামলা চলবে

ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের নামে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিলে এবার আপিল বিভাগেও আবেদন খারিজ করা হয়েছে।  

রোববার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ফলে শ্রম আদালতে এ মামলার বিচার চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ২৫ জুলাই চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

সে অনুযায়ী শুনানি শেষে গত ৮ আগস্ট রায় দেওয়া হয়। রায়ে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদন খারিজ করে দেন।

এরপর ড. ইউনূসসহ চারজন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যেটি ২০ আগস্ট খারিজ হয়ে যায়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।