ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পি কে হালদারের মামলায় যুক্তিতর্ক ১৩ সেপ্টেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
পি কে হালদারের মামলায় যুক্তিতর্ক ১৩ সেপ্টেম্বর

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে।

মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।

এ দিন কারাগারে থাকা দুই আসামি সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে তাদের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজ আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত ২ আগস্ট দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। সেদিন তিনি আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ
সাজা দাবি করেন।

গত ২০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও বাড়তি দুজনসহ মোট ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৬ জুলাই দিন রাখেন আদালত। ওই দিন কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

পি কে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক। তাই তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে পারেননি। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন—পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।