ঢাকা: মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন আদেশও দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, এই মামলায় জাকিরকে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জামিন দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি শেষে দুই শর্তে তার জামিন বহাল রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।
তিনি আরও জানান, কেনিয়ায় থাকা অবস্থায় ৪১ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক অর্থ পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা জব্দ করেছে দুদক। ১৫ কোটি টাকার ওপরে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় ২৯ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
ইএস/এসআইএস