ঢাকা: অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের চার সদস্য হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবদুল হাই বাচ্চু ছাড়া অন্যরা হলেন, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও বাচ্চুর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না।
জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ২ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদা বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ওই মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ৯ আগস্ট বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৮ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু সে আবেদনগুলো এখনো কোনো বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়নি।
১২ জুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
ওই দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন আরও জানান, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীসহ এজাহারনামীয় এবং তদন্তে নাম আসা আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
তারা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভবান করে ভুয়া মর্টগেজ, মর্টগেজের অতিমূল্যায়ন এবং মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
এসব ঘটনায় দুদকের পাঁচ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোট ৫৯টি মামলা করেন। এর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ছয়টি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৫টি, মো. মোনায়েম হোসেন ১৭টি, মোহাম্মদ সিরাজুল হক তিনটি ও মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ১৮টি মামলার তদন্ত করেছেন। তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
ইএস/এসআইএস