ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে বিএনপি নেতা হাবিবকে

স্পেশাল কসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে বিএনপি নেতা হাবিবকে

ঢাকা: হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করা হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে হাজির করা হয়।

বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে তলবে হাজির না হওয়ায় গত ৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে খুঁজে বের করে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মিরপুরের ডিওএইচএস এলাকা থেকে র‌্যাব-২ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই বক্তব্য উপস্থাপনের পর গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ৬ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে তলব করেন। কিন্তু ৬ নভেম্বর তিনি বা তার কোনো প্রতিনিধি আদালতে হাজির হননি।

ওইদিন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ৮ নভেম্বর তার অবস্থান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, স্থায়ী ঠিকানায় খোঁজ করে পাবনা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন  তানার(হাবিব) বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। তাকে পাওয়া যায়নি। আর ঢাকার শেরে বাংলানগর থানা থেকে জানিয়েছে, তার বাসায় একাধিকবার পুলিশ গিয়েছে, পাওয়া যায়নি। পুলিশকে  তার স্ত্রী জানান- হাবিবুর রহমান হাবিব কোথায় আছেন তিনি তা জানেন না। অর্থাৎ তিনি এখন পলাতক অবস্থায় আছেন। সে বিষয় প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানিয়েছি।

এ প্রতিবেদন দাখিলের পর হাবিবুর রহমান হাবিবকে ট্রেস আউট করে অবিলম্বে আদালতে হাজিরের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেন।  

বিচারিক আদালতে জজ থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

গত ১৫ অক্টোবর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্যের লিংক ইউটিউবে প্রচারিত হতে থাকলে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসে। বি

ষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উত্থাপিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয় ৬ নভেম্বর।  

তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। সে বক্তব্য এতই অশালীন, যেটি স্বাভাবিকভাবে কোনো শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২৩
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।