ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

দুর্নীতিবাজরা আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ও স্বপ্ন চুরি করেছে: আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
দুর্নীতিবাজরা আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ও স্বপ্ন চুরি করেছে: আদালত

ঢাকা: ‘যারা দুর্নীতিবাজ তারা শুধু দেশের অর্থই চুরি করেনি আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ ও স্বপ্ন চুরি করেছে। ’

মঙ্গলবার (২৮ নভম্বর) বংশাল থানার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক ও গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত এই মন্তব্য করেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করা এবং সামাজিকভাবে বয়কট করা।

মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে সংক্ষিপ্ত এ রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম। রায়ে আসামিদের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪(২) ধারায় এ সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া আসামিদের ৫২ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি জব্দকৃত টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।

তবে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভুঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেবকে খালাস দেন আদালত।

রায় ঘোষণার জন্য এনু-রূপনসহ কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে অন্যরা খালাস পেলেও এনু-রূপনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। বিচার চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ভোরে ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত থাকায় এনু-রুপনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

গেণ্ডারিয়া এলাকার ত্রাস এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারসহ ১২টি মামলা দায়ের করা হয়। বহিষ্কার করা হয় আওয়ামী লীগ থেকেও।

সবশেষ ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত রাজধানীর পুরান ঢাকায় ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিট এলাকায় ক্যাসিনো–কাণ্ডে জড়িত দুই ভাই এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়ার বাসায় র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।

আরও পড়ুন:
অর্থপাচার: এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।